থাইরয়েড সমস্যা নিরাময়ে হোমিওপ্যাথি
থাইরয়েডের সমস্যা নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক
ওষুধের প্রয়োগ সংকেত নিয়ে আজকের
নিবন্ধ। থাইরয়েড একটি অন্তঃক্ষরা
গ্রন্থি, অবস্থান গলার নিচের দিকে। এই গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত
হরমোন থাইরক্সিন এবং ট্রাই আয়োডো থাইরোনিন রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে
ছড়িয়ে পড়ে। দেহের প্রায় প্রতিটি সিস্টেমের স্বাভাবিক কাজকর্মের জন্য এই
হরমোনের প্রয়োজন। স্বাভাবিকভাবেই এই হরমোনের মাত্রার হেরফের হলে শরীরের
প্রায় সব কটি সিস্টেমের ওপরই প্রভাব পড়ে। থাইরয়েড হরমোনের মূল উপাদান
আয়োডিন। তাই দৈনন্দিন খাবারে আয়োডিনের ঘাটতি থাকলে এ হরমোন ব্যাহত হয়।
প্রতিদিনের খাবারে যদি ২০ মাইক্রোগ্রামের কম আয়োডিন থাকে তাহলে থাইরয়েড
হরমোনের নানা সমস্যা দেখা দেয়। আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েডের মূলত যেসব সমস্যা
দেখা দেয় তার মধ্যে প্রধান গলগন্ড বা গয়টার। বড়দের মতোই বাচ্চাদেরও থাইরয়েডের
সমস্যা মূলত দুই প্রকারের প্রথমত গ্রন্থির কর্মসংক্রান্ত সমস্যা
যেখানে কিনা থাইরয়েড গ্রন্থি ঠিকমতো কাজ না করার জন্য স্বাভাবিকের থেকে কম
(হাইপোথাইরয়েডিজম) বা বেশি (হাইপারথাইরয়েডিজম) হরমোন নিঃসৃত হচ্ছে।
দ্বিতীয় সমস্যাটি গঠনগত যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থিটি বড় হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিকের
থেকে। এই অবস্থাকে বলা হয় গয়টার। প্রথমে আসি হাইপোথাইরয়েডিজমের
কথায়। থাইরয়েড হরমোন বাচ্চার মানসিক ও শারীরিক বিকাশের অন্যতম হরমোন। এই
হরমোনের অভাবে বাচ্চার স্বাভাবিক বিকাশ ভীষণভাবে ব্যাহত হয়। ভ্রƒণ অবস্থা থেকে
শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশও শুরু হয়। এই
মস্তিষ্কের বিকাশ কিন্তু বাচ্চা জন্মাবার পরও মধ্য শৈশব অবধি চলতে থাকে। এই অবস্থায় যদি থাইরয়েড হরমোনের অভাব হয় তবে
মস্তিষ্কের বিকাশ হয় না।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এই সময় সঠিক চিকিৎসা না হলে পরবর্তীকালে চিকিৎসা করিয়েও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বাচ্চা জড়ভরত হয়ে যায়। তার বুদ্ধির কোনো বিকাশই ঘটে না। একই সঙ্গে শারীরিক বিকাশ না হওয়ার দরুন এইসব বাচ্চা অত্যন্ত খর্বকায় হয়। মূলত এই দুটি কারণেই বাচ্চাদের হাইপোথাইরয়েডিজম সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারাত্মক হয়ে যায়। একে জন্মগত বা কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েড বলা হয়। আবার অনেক সময় কোনো এক অজ্ঞাত কারণে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া বংশগত কারণে শরীরে বিশেষ ধরনের এনজাইম বা উৎসেচকের অভাব হলে অনেক সময় থাইরয়েডের অসুখের প্রবণতা বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, মেয়েদের থাইরয়েডের অসুখের প্রবণতা বেশি।
ভ্রƒণ অবস্থায় এই রোগ নির্ণয় প্রায় অসম্ভবই। বাচ্চা জন্মাবার পর অসুখটির উপসর্গ দেখা দিতে অনেক ক্ষেত্রে বেশ দেরি হয়ে যায়। হাইপোথাইরয়েডিজম যদি মধ্য শৈশবের পর হয়, সেখানে প্রধান সমস্যা শারীরিক বিকাশের। যে বাচ্চা লম্বা হচ্ছে না বা লম্বা না হয়ে মোটা হয়ে যাচ্ছে, ঝিমিয়ে পড়েছে বা যার বয়ঃসন্ধিক্ষণের পরিবর্তন সময় মতো আসছে না।
হাইপারথাইরয়েডিজম অসুখটি সদ্যোজাত শিশু থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। তবে সদ্যোজ্যাত শিশুর এই রোগ সাধারণত ক্ষণস্থায়ী হয়। সাধারণভাবে এক থেকে তিন মাসের মধ্যে এই অসুখ নিজের থেকেই ঠিক হয়ে যায়। ওই সময়টুকুর জন্যই যা চিকিৎসার প্রয়োজন। সদ্যোজাত শিশুর হাইপারথাইরয়েডিজম অত্যন্ত বিরল। শৈশবের হাইপার থাইরয়েডিজমের সমস্যাগুলো প্রাপ্তবয়স্কের হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যার মতোই। খিদে বাড়া, ওজন কমে যাওয়া, অস্থির ভাব, বুক ধড়ফড় করা, স্কুলে ভালো ফল না করার মতো সমস্যা দেখা দিলে হাইপারথাইরয়েডিজমের কথা ভাবা হয়।
আমাদের শরীরে দুই রকমের গ্রন্থি বা গø্যান্ড আছে। এন্ডোক্রিন বা অন্তঃক্ষরা (নিঃনালী যার রসক্ষরণ বহনের কোনো নালা নেই) এবং অপরটি বহিঃক্ষরা গ্রন্থি। থাইরয়েড একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। আমাদের গলায় ঘাড়ে ঠিক সামনের দিকে এর অবস্থান অর্থাৎ শ্বাসনালীর ওপরের দিকে অবস্থিত। খুব ছোট দৈর্ঘ্যে ৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থে ২ সেন্টিমিটার, অনেকটা ডানা মেলা প্রজাপতির মতো দেখতে। ডানা দুটিকে বলে লোব এবং দুটি ডানার সংযোগকারী অংশটিকে বলে ‘ইসথমাস’। অন্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মতো এই থাইরয়েড গøান্ড হতে যে রাসায়নিক রস ক্ষরিত হয় তাকেও বলা হয় হরমোন, যা শরীরবৃত্তিয় কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যোগব্যায়াম : ওষুধ সেবনের সঙ্গে সঙ্গে উষ্ট্রাসন, শশঙ্গাসন, হলাসন, মৎস্যাসন, সিংহাসন, চক্রাসন, সর্বাঙ্গাসন, ধনুরাসন, অর্ধকুর্মাসন, পদ্মাসন, ভূজাঙ্গসন, পবনমুক্তাসন, উড্ডীয়ান, হস্তপদাসন ইত্যাদি চর্চায় থাইরয়েড প্রতিকারে সুফল পাওয়া যায়।
হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান : এ রোগে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের প্রয়োগ সংকেত অত্যন্ত কার্যকরী। নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ সেবনে এই অসুখের নিরাময় সম্ভব। লক্ষণ সাদৃশ্যে নিম্নলিখিত ওষুধ ব্যবহৃত হয়। সংক্ষেপে তা প্রদত্ত হলো। ১. ব্রোমিন ২. ফিউকাস ভেসি ৩. স্পঞ্জিয়া ৪. লেপিস এলবাস ৫. আইওডিন ৬. মার্ক আয়োড ৭. মার্ক বিন আয়োডসহ আরও বহু ফলদায়ক ওষুধ আছে। তারপরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো এই সময় সঠিক চিকিৎসা না হলে পরবর্তীকালে চিকিৎসা করিয়েও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বাচ্চা জড়ভরত হয়ে যায়। তার বুদ্ধির কোনো বিকাশই ঘটে না। একই সঙ্গে শারীরিক বিকাশ না হওয়ার দরুন এইসব বাচ্চা অত্যন্ত খর্বকায় হয়। মূলত এই দুটি কারণেই বাচ্চাদের হাইপোথাইরয়েডিজম সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারাত্মক হয়ে যায়। একে জন্মগত বা কনজেনিটাল হাইপোথাইরয়েড বলা হয়। আবার অনেক সময় কোনো এক অজ্ঞাত কারণে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া বংশগত কারণে শরীরে বিশেষ ধরনের এনজাইম বা উৎসেচকের অভাব হলে অনেক সময় থাইরয়েডের অসুখের প্রবণতা বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, মেয়েদের থাইরয়েডের অসুখের প্রবণতা বেশি।
ভ্রƒণ অবস্থায় এই রোগ নির্ণয় প্রায় অসম্ভবই। বাচ্চা জন্মাবার পর অসুখটির উপসর্গ দেখা দিতে অনেক ক্ষেত্রে বেশ দেরি হয়ে যায়। হাইপোথাইরয়েডিজম যদি মধ্য শৈশবের পর হয়, সেখানে প্রধান সমস্যা শারীরিক বিকাশের। যে বাচ্চা লম্বা হচ্ছে না বা লম্বা না হয়ে মোটা হয়ে যাচ্ছে, ঝিমিয়ে পড়েছে বা যার বয়ঃসন্ধিক্ষণের পরিবর্তন সময় মতো আসছে না।
হাইপারথাইরয়েডিজম অসুখটি সদ্যোজাত শিশু থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের মানুষের হতে পারে। তবে সদ্যোজ্যাত শিশুর এই রোগ সাধারণত ক্ষণস্থায়ী হয়। সাধারণভাবে এক থেকে তিন মাসের মধ্যে এই অসুখ নিজের থেকেই ঠিক হয়ে যায়। ওই সময়টুকুর জন্যই যা চিকিৎসার প্রয়োজন। সদ্যোজাত শিশুর হাইপারথাইরয়েডিজম অত্যন্ত বিরল। শৈশবের হাইপার থাইরয়েডিজমের সমস্যাগুলো প্রাপ্তবয়স্কের হাইপারথাইরয়েডিজমের সমস্যার মতোই। খিদে বাড়া, ওজন কমে যাওয়া, অস্থির ভাব, বুক ধড়ফড় করা, স্কুলে ভালো ফল না করার মতো সমস্যা দেখা দিলে হাইপারথাইরয়েডিজমের কথা ভাবা হয়।
আমাদের শরীরে দুই রকমের গ্রন্থি বা গø্যান্ড আছে। এন্ডোক্রিন বা অন্তঃক্ষরা (নিঃনালী যার রসক্ষরণ বহনের কোনো নালা নেই) এবং অপরটি বহিঃক্ষরা গ্রন্থি। থাইরয়েড একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি। আমাদের গলায় ঘাড়ে ঠিক সামনের দিকে এর অবস্থান অর্থাৎ শ্বাসনালীর ওপরের দিকে অবস্থিত। খুব ছোট দৈর্ঘ্যে ৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থে ২ সেন্টিমিটার, অনেকটা ডানা মেলা প্রজাপতির মতো দেখতে। ডানা দুটিকে বলে লোব এবং দুটি ডানার সংযোগকারী অংশটিকে বলে ‘ইসথমাস’। অন্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির মতো এই থাইরয়েড গøান্ড হতে যে রাসায়নিক রস ক্ষরিত হয় তাকেও বলা হয় হরমোন, যা শরীরবৃত্তিয় কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যোগব্যায়াম : ওষুধ সেবনের সঙ্গে সঙ্গে উষ্ট্রাসন, শশঙ্গাসন, হলাসন, মৎস্যাসন, সিংহাসন, চক্রাসন, সর্বাঙ্গাসন, ধনুরাসন, অর্ধকুর্মাসন, পদ্মাসন, ভূজাঙ্গসন, পবনমুক্তাসন, উড্ডীয়ান, হস্তপদাসন ইত্যাদি চর্চায় থাইরয়েড প্রতিকারে সুফল পাওয়া যায়।
হোমিওপ্যাথিক প্রতিবিধান : এ রোগে হোমিওপ্যাথিক ওষুধের প্রয়োগ সংকেত অত্যন্ত কার্যকরী। নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ সেবনে এই অসুখের নিরাময় সম্ভব। লক্ষণ সাদৃশ্যে নিম্নলিখিত ওষুধ ব্যবহৃত হয়। সংক্ষেপে তা প্রদত্ত হলো। ১. ব্রোমিন ২. ফিউকাস ভেসি ৩. স্পঞ্জিয়া ৪. লেপিস এলবাস ৫. আইওডিন ৬. মার্ক আয়োড ৭. মার্ক বিন আয়োডসহ আরও বহু ফলদায়ক ওষুধ আছে। তারপরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
mevi ¯^v¯’¨ ivwLe
my¯’¨ GB g‡š¿ Dw¾weZ|
Wvt ‡kL gvgybyi iwk`
wWGPBGgGm. (weGPBwe) XvKv,
weG, (Abvm©)GgG wWGgGm KwjKvZv) | K¬vwmdvBW †¯úkvwj÷ Bb †nvwgIc¨vw_
GÛ Kbmvj‡U›U Aëvi‡bwUf †gwWwmb †MÖwWs Bb c¨v_jwR GÛ mvR©wi |
‡iwRt bs- (wRGm - 530) 25087( BwÛ) 17184
Av‡ivM¨ †nvwgI dv‡g©mx GÛ cwjcvm
I cvBjm wKIi †m›Uvi ‡‡
‡P¤^v‡i: আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের cv‡k¦ রেলগেট,মুজিব সড়ক h‡kvi| ‡ivMx ‡`Lvi
w`b(kwb ,iwe, †mvg)
‡P¤^v‡i: bZzb iv¯Ívi †gvo ‡`ŠjZcyi Lyjbv||‡ivMx ‡`Lvi
w`b(g½j,eya,e„n)
‡P¤^v‡i †ivMx †`Lvi mgqt
cÖwZw`b mKvj 9.30n‡Z `ycyi 2.00Uv
ch©všÍ| weKvj 4.00‡_‡K ivZ 9.30wgwbU ch©všÍ| mvÿv‡Zi c~‡e ©†dvb K‡i Avmyb
‡gvevBj bs 01915999568/01722557184|Email:Shk.mamun04@gmail.com