কিডনি
আমাদের শরীরের অন্যতম প্রধান অংশ। বেঁচে থাকার জন্য যেমন মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্র জরুরি,
ঠিক তেমনি জরুরি হলো কিডনি। কিডনি না
থাকলে আমাদের জীবনধারণ অসম্ভব! সাধারণত পেটের অভ্যন্তরে মেরুদণ্ড বা
শিরদাঁড়ার উভয় পাশে একটি করে মোট দুটি কিডনি আমাদের
শরীরে থাকে। কিডনিগুলো দেখতে বিনের
মতো।
কিডনির
রোগগুলোর মধ্যে স্টোন বা পাথর হওয়া অন্যতম। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে স্টোন কিডনির কোথায় এবং কীভাবে আছে।
স্টোনের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। পাথর খুব ছোট হলে সেটি
কোনো ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত শরীরে
নিরীহভাবে থাকতে পারে! স্টোনটি বড় হলে বা বড় হতে শুরু করলে অথবা এর
আকার এবড়োখেবড়ো হলে এটি কিডনি ভেতরে ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং ব্যথা
অনুভূত হয়। এ ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে তলপেটে এমনকি
পুরুষদের অণ্ডকোষেও!
রোগের
কারণ :
- কিডনিস্টোন তৈরির প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে কিছু কিছু ব্যাপার কিডনিতে স্টোন তৈরির কারণ বলে বিবেচিত হয়। যেমন -
- বারবার কিডনিতে ইনফেকশন হওয়া এবং এর যথোপযুক্ত চিকিত্সা না করা।
- শরীরে পানির স্বল্পতা।
- শরীরে ক্যালসিয়ামের আধিক্য।
- অধিক পরিমাণে দুধ, পনির ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ করা।
উপসর্গ
:
- যেহেতু কিডনির ভেতরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তাই সেই ক্ষত থেকে রক্তপাত হতে শুরু করে এবং প্রসাবের সাথে রক্ত বেরিয়ে আসে। তাই অধিকাংশ কিডনিস্টোন-রোগীদের বেলায় প্রধান উপসর্গ হলো -
- রক্তবর্ণের প্রসাব।
- বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।
- কিডনির অবস্থানে ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটে
হোমিওপ্যাথিক
চিকিত্সা :
কিডনির
অবস্থানে ব্যথা এবং রক্তবর্ণের প্রসাব হলে ডাক্তাররা সাধারণত দুটো সম্ভাবনার কথা চিন্তা করেন। একটি হলো কিডনির ইনফেকশন, অন্যটি
কিডনির পাথর। তাই কিডনি এক্সরে,
আলট্রাসনোগ্রাম এবং প্রসাবের নানা
পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই
উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
অনেকেই
হয়তো এই আধুনিক যুগেও কিডনি
রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সার কথা শুনে নাক সিটকান। আপনাদের অবগতির জন্য বলছি অনেক ডাক্তারদের কাছ থেকে অনেকদিন পর্যন্ত চিকিত্সা
নিয়া অবশেষে কোনো প্রকার কুল কিনারা করতে না পেরে ডাক্তাররা যখন
অপারাশনের কথা বলেন তখন রোগীরা আমাদের শরণাপন্ন হন। আর ঐ অবস্থা থেকেও
হোমিওপ্যাথি রোগীদের পর্যায়ক্রমে পরিপূর্ণ সুস্থতার দিকে নিয়ে যায় আর এবং রোগ নির্মূল হয়ে যায়।
পাথর
না হওয়ার জন্য কিছু সতর্কতা:
কিডনিতে
একবার পাথর হলে তা বার বার হতে পারে। তাই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এর পুনরাবৃত্তির হার কমিয়ে আনা যায়। সাধারণত যেসব এলাকায় গরম
বেশি সেসব জায়গায় লোকদের মধ্যে কিডনি পাথর বেশি দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে—
- প্রধানত অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে শরীর বৃত্তির কার্যকারণে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এসব ক্ষেত্রে পানি বেশি খেতে হবে। পানি খাবার পরিমাণ খাদ্য গ্রহণের ৩ ঘণ্টার মধ্যে বেশি হতে হবে, যখন প্রচুর পরিশ্রম করা হয় তখনও পানি বেশি খেতে হবে। পানির পরিমাণ এমন হতে হবে যাতে ২৪ ঘণ্টার প্রস্রাবের পরিমাণ ৩ লিটার বা তার বেশি হয়।
- আবার যাদের কিডনিতে পাথর হয় তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে খাদ্যাভাস একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে।
- প্রোটিন কিডনি দিয়ে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট ও ইউরিক এসিডের নিঃসরণ বাড়ায়। এই এসিড কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম অ্যাবজরসন কমায়। এসব বিপাক ক্রিয়ার ফলে কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- যাদের কিডনিতে বার বার পাথর হয় তাদের দৈনিক প্রোটিন গ্রহণ বেশি না করা শ্রেয়।
- ফাইবার যুক্ত খাদ্য যেমন—গম, সয়া, চালের ভূষি স্টোন রিকারেন্স কমায়। যেসব খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট বেশি আছে যেমন—দুধ, পনির ইত্যাদি রিকারেন্ট স্টোনের রোগীদের কম খাওয়া উচিত।
- অতি লবণযুক্ত খাদ্য কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়
- এছাড়াও যাদের কিডনিতে বারবার পাথর হয় তাদের পাথর এনালাইসিস করে স্পেসিফিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
·
mevi ¯^v¯’¨ ivwLe my¯’¨ GB g‡š¿ Dw¾weZ|
·
Wvt ‡kL gvgybyi iwk`
·
wWGPBGgGm. (weGPBwe) XvKv,
weG, (Abvm©)GgG wWGgGm KwjKvZv) | K¬vwmdvBW †¯úkvwj÷ Bb †nvwgIc¨vw_
GÛ Kbmvj‡U›U Aëvi‡bwUf †gwWwmb †MÖwWs Bb c¨v_jwR GÛ mvR©wi |
·
‡iwRt bs- (wRGm - 530) 25087( BwÛ) 17184
·
Av‡ivM¨ †nvwgI dv‡g©mx GÛ cwjcvm
I cvBjm wKIi †m›Uvi ‡‡
‡P¤^v‡i: আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের cv‡k¦ রেলগেট,মুজিব সড়ক h‡kvi| ‡ivMx ‡`Lvi
w`b(kwb ,iwe, †mvg)
·
‡P¤^v‡i: bZzb iv¯Ívi †gvo ‡`ŠjZcyi Lyjbv||‡ivMx ‡`Lvi
w`b(g½j,eya,e„n)
