photo anigif_zps14jgsh76.gif

Friday, October 13, 2017

টনসিলের প্রদাহ (Tonsillitis) - কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

টনসিলের প্রদাহ (Tonsillitis) - কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

টনসিলের প্রদাহ বা Tonsillitis হলো আমাদের পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। মানুষের জিহ্বার গোড়ার দিকে আলজিব থাকে (Uvula) এবং এই আলজিভের দু পাশের স্থানকে টনসিল বলে। এই টনসিলের প্রদাহকে টনসিলাইটিস বলে।  প্রথমত লক্ষনানুসারে টনসিলাইটিস দু প্রকারের হতে পারে যথা - Acute বা তরুণ  এবং Chronic বা পুরাতন। 
টনসিল প্রদাহের তরুণ রোগের লক্ষণ :- তরুণ রোগের লক্ষণ হচ্ছে যে প্রথমে দু পাশের টনসিল অথবা একদিকের একটি টনসিল স্ফীত হয় এবং বড় হতে হতে প্রায় সুপারির মত আকার ধারণ করে। আলজিভটি ফুলে লাল বর্ণ হয়ে যায়। আহার এবং পানীয় গ্রহনের পথ প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে যায়, মুখ দিয়ে লালা ঝরে, টনসিলের বেদনা কান পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়, শরীরে জ্বর হয়, জ্বরের তাপ মাত্র ১০৪ ডিগ্রী পর্যন্ত ওঠে, মখের চুয়ালে বেদনা হয়, গলা ফোলে যায়, হা করতে পারেনা। খাদ্য ও পানীয় গ্রহনের পথ (Pharynx )সংকোচিত হয়ে আসে। টনসিল অনেক সময় পাকে এবং ফেটে যায়, পাকার আগে ভীষণ যন্ত্রণা হয়, কম্পন দিয়ে জ্বর আসে। টনসিল ফেটে গেলে যন্ত্রণার উপশম হয়। 
টনসিল প্রদাহের পুরাতন রোগের লক্ষণ :- পুরাতন টনসিলের লক্ষণ হচ্ছে যে - রোগী বার বার এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং রোগটি কঠিন ও ভয়ংকর হয়ে দেখা দেয়। এই রোগ পুরাতন হলে রোগীর শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট দেখা দেয় এবং একপ্রকার শব্দ হয়। হা করলে মুখের ভিতরে টনসিলটিকে একটি বড় সুপারির মত দেখায়। 
রোগের অবস্থানুসারে টনসিলাইটিস কে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা কেটারাল, ফলিকিউলার এবং সাপরেটিব। কেটারাল অবস্থায় টনসিলের স্ফীত ভাব এবং সামান্য প্রদাহের সৃষ্টি হয় ফলিকিউলার টনসিলাইটিস্ অবস্থায় আলজিভের কাছে পোস্ত দানার মত একপ্রকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্ল্যান্ড থাকে, এই দানার মত গ্ল্যান্ড গুলোকে ফলিকলস বলে। যখন এই দানার মত গ্ল্যান্ড গুলো আক্রান্ত হয় তখন ইহাকে ফলিকিউলার টনসিলাইটিস বলা হয়। যখন গ্লান্ডের পেরেন কায়মা আক্রান্ত হয় এবং স্ফীত হয়ে প্রদাহ ভাবের সৃষ্টি করে এবং পুজের উত্পত্তি হয় তখন ইহাকে সাপুরেটিভ বা কুইনসি বলা হয়। 
টনসিলের প্রদাহ রোগের সূচনা দেখে বলা যায়না যে এই রোগটি কোন শ্রেণীর হবে অথবা কেমন অবস্থার সৃষ্টি করবে। এই রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্য যথেষ্ট সাদৃশ থাকায় ইহাকে শ্রেণীভাগ করা বেশ কঠিন। Dr Walter sands mills সর্ব প্রথমে এই রোগের শ্রেণী বিভাগ করেন এবং তার এই শ্রেণী বিভাগ সংক্রান্ত সংবাদ ১৯০৩ সালে ২৪ শে জানুয়ারী নিউয়ের্কের Medical news এ প্রকাশিত হয়। তার এই রোগ সম্পর্কীয় লেখাটি "Tonsillitis classified as an infectious disease'' নামে প্রকাশিত হয়েছিল। 
টনসিল প্রদাহের কারণ :- সাধারনত ঠান্ডা লেগে এই রোগ হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঋতূ পরিবর্তন, রক্তাধিক্য এবং স্ক্রুফলা ধাতুর ব্যক্তিগনের ঘাম হবার সময় হঠাৎ ঠান্ডা লেগে সেই ঘাম বন্ধ হয়ে এই রোগের সৃষ্টি করতে পারে।শরীরের অন্যান্য স্থানে প্রদাহ যে কারণে হয় টনসিলের প্রদাহও ঠিক একই কারণে হয়। টনসিলাইটিসের জন্য কোনো বিশেষ প্রকার জীবানু আছে বলে এখনো জানা যায়নি। তবে যত দূর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে তাতে দেখা যে -Staphylococci, Streptococci এবং Pneumococci প্রভৃতি জীবানুর সন্ধান এই রোগের ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে। 
টনসিল প্রদাহের লক্ষণ :- সাধারনত দেখা যায় এই রোগটি আক্রমনের সূচনা হতে প্রায় ১-৪ সপ্তাহ কাল পর্যন্ত স্থায়ী হয় অর্থাৎ রোগীর ভোগান্তি কাল প্রায় ৭-৩০ দিন পর্যন্ত। তবে ১০/১৫ দিনের মধ্য ইহার যাবতীয় লক্ষণগুলো প্রকাশ লাভ করে। ইহার প্রথম লক্ষণ প্রকাশ পায় গলা বেদনার মাধ্যমে ইহার পর আনুসঙ্গীক উপসর্গ গুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে থাকে যেমন - মাথার যন্ত্রণা, পিঠে বেদনা, দুর্বলতা, শরীরের নানা স্থানে বেদনার ভাব, মুখ মন্ডল স্ফীত এবং রক্তিম বর্ণ ধারণ করা ইত্যাদি লক্ষণগুলো খুব দ্রুত প্রকাশ পেতে থাকে, জ্বর হয়, অন্যান্য লক্ষণের সঙ্গে জ্বর ভাব বর্তমান থাকে, শীত শীত ভাব বর্তমান, জ্বরের তাপমাত্রা সাধারণত ১০১ ডিগ্রী হতে ১০৫ ডিগ্রী পর্যন্ত ওঠে, জ্বরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তৃতীয় দিনের সন্ধার সময় ওঠে। জিহ্বায় ময়লার প্রলেপ, জিহ্বা শুকানো, মুখ থেকে প্রচুর লালা নিসৃত হয়। 
টনসিল দুটি অথবা একটি স্ফিত হয়ে রক্তিম বর্ণ ধারণ করে। এই স্ফিত এবং রক্তিম ভাব মুখের বিসৃত অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে। গলায় বেদনা এবং প্রদাহ ভাব দেখা দেয়। রোগী হা করতে পারেনা এমনকি কথা বলতে কষ্ট বোধ করে। টনসিলাইটিস অনেক সময় স্বরযন্ত্রের উপর খারাপ প্রভাব বিস্তার করে, রোগীর স্বরভংগ ভাব দেখা দেয় এবং নাকি সুরে কথা বলে। এই রোগের লক্ষণগত বৈশিষ্ট দেখে চিকিত্সকগণ ইহার শ্রেণী ভাগ করে থাকেন এবং এই শ্রেণী ভাগের কথা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। 
টনসিলাইটিসের ভাবীফল অনেক ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার ধারণ করে থাকে। তবে সাধারণ ভাবে এই রোগ নির্ণয় করা সহজ, অনেক সময় খাদ্যনালী আক্রান্ত হয়ে রোগীর অবস্থা খুব সংকটময় করে তুলে আবার অনেক সময় আরক্ত জ্বর দেখা দেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, ফলিকিউলার টনসিলাইটিস্ ডিপথেরিয়া রোগের সৃষ্টি হয়. ফলিকিউলার টনসিলাইটিস এবং ডিপথেরিয়া লক্ষণগুলো প্রায় এক এবং যথেষ্ট সাদৃশযুক্ত। 
তাই অনেক চিকিত্সকগণই অনেক সময় সঠিক ভাবে রোগীর রোগ নির্ণয় করতে পারেননা। অর্থাৎ রোগী ফলিকিউলার টনসিলাইটিস আক্রান্ত অথবা ডিপথেরিয়া আক্রান্ত এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। সাপরেটিব টনসিলাইটিস অনেক সময় খাদ্য নালীতে ফোড়া সৃষ্টি করে এমন ভয়ংকর রূপ লাভ করে যে ইহাতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে এই রোগে রোগীর মৃত্যু সংখ্যা তেমন যথেষ্ট নয়। লক্ষনানুসারে উপযুক্ত হোমিও চিকিত্সা নিলে ইহা পরিপূর্ণ ভাবে  আরোগ্য হয়ে যায়। তবে অভিজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিত্সা নেয়া জরুরী। 

  Wvt ‡kL gvgybyi iwk`                
wWGPBGgGm. (weGPBwe) XvKv, weG, (Abvm©)GgG wWGgGm   KwjKvZv) | K¬vwmdvBW †¯úkvwj÷ Bb †nvwgIc¨vw_ GÛ Kbmvj‡U›U Aëvi‡bwUf †gwWwmb †MÖwWs Bb c¨v_jwR GÛ mvR©wi |
 ‡iwRt bs- (wRGm - 530) 25087( BwÛ) 17184
Av‡ivM¨ †nvwgI dv‡g©mx GÛ  cwjcvm I cvBjm wKIi †m›Uvi ‡‡                                                   ‡P¤^v‡i:  আদর্শ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের cv‡k¦  রেলগেট,মুজিব সড়ক h‡kvi|            ‡ivMx ‡`Lvi w`b(kwb ,iwe, †mvg)
‡P¤^v‡i:  bZzb iv¯Ívi †gvo ‡`ŠjZcyi Lyjbv||‡ivMx ‡`Lvi w`b(g½j,eya,e„n)
‡P¤^v‡i †ivMx †`Lvi mgqt
cÖwZw`b mKvj 9.30n‡Z `ycyi 2.00Uv ch©všÍ| weKvj 4.00‡_‡K ivZ 9.30wgwbU ch©všÍ| mvÿv‡Zi c~‡e ©†dvb K‡i Avmyb ‡gvevBj   bs 01915999568/01722557184|Email:Shk.mamun04@gmail.com